রোকনুজ্জামান,নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতাঃ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে বাঁশের খাঠিয়া দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রী মর্জিনা (৩২)কে হত্যা করেছে স্বামী শহিদুল ইসলাম। তাদের একমাত্র মেয়ে মোছাঃ আফরিন জান্নাত (০৬) ও ছেলে আলআমিন কে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন তার বাবা। ঘটনার পরপরই হত্যাকারী শহিদুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
শনিবার ২০ (এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার হেয়াতপুর চিনিরচড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মর্জিনা একই এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। আহত শিশু আফরিন জান্নাত ও আলআমিন কে স্থানীয় লোকজন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন, চিকিৎসা চলাকালে আজ সকালে মেয়ে আফরিন মৃত্যুবোরন করে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত মর্জিনার মা গোলাপি বেগম বাদী হয়ে গত রাতেই অভিযোগ দায়ের করলে জামাই শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।’
ওসি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের যতটুকু তথ্য পেয়েছি তা হল- ছেলে মেয়ের মোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। শনিবার রাতে নিহত মর্জিনা রান্না করছিল। ছেলে মেয়ে দুজন ঘরে মোবাইলে দেখছিল। এ সময় হঠাৎ ছেলেমেয়েরা চিল্লাচিল্লি করলে মা ছেলেমেয়েকে থামতে বলে। একপর্যায়ে মা তাদের থাপ্পড় দিলে বাবা উত্তেজিত হয়। এবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে মর্জিনা বেগমকে (৩০) বাশের খাঠিয়া দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে স্বামী শহিদুল। তাছাড়া গুরুতর আহত করা হয় ছেলে মেয়েকে। আহত মেয়েকে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেলে রেফার্ড করে,ওখানে চিকিৎসা চালকালে আজ সকালে আহত শিশু মৃত্যুবরন করে।
হত্যাকাণ্ডের আরও কোনো বিষয় আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান ওসি তাওহীদুল ইসলাম।