শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মধুপুরে বদলি হওয়া তিন শিক্ষককে সদর ক্লাস্টারে ফুলের শুভেচ্ছা এমপি বনাম জনতা- ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী লড়াই  নাগরপুরে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় নিহত ১ প্রচন্ড গরমে পথচারীদের মাঝে পানীয় ও খাবার স্যালাইন বিতরণ বাগেরহাটের ফকিরহাটে ঘরথেকে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শেরপুরে ছাত্র কল্যান পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ঝিনাইগাতীতে ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা নবাবগঞ্জে মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত শেরপুরে মহান ১ লা মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়েছে লাঙ্গল-জোয়াল

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩৬৪ Time View

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

কৃষি প্রধান বাংলাদেশে এক সময় লাঙ্গল-জোয়াল ও গরু ছাড়া কৃষি জমি প্রস্তুতের কথা চিন্তাই করা যেত না। কিন্তু কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গেলেও বাংলার এ অতীত ঐতিহ্য সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার গ্রাম গুলোতে হঠাৎ করেই চোখে পরে কৃষকের কাঁদে লাঙ্গল জোয়াল।

বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গরু দিয়ে হালচাষ( চাষাবাদ) এর লাঙল ও জোয়াল। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হালচাষের পরিবর্তে এখন ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে অল্প সময়ে জমি চাষ করা হয়। এক সময় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কৃষক গরু, মহিষ পালন করতো হালচাষ করার জন্য। সমাজের সৌখিন কৃষকরা চাষাবাদের পাশাপাশি সাড় ও বলদ পালন করতেন। অনেকে গবাদিপশু দিয়ে হালচাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে ছিলেন। আবার অনেকে ধান,গম, ভুট্টা, সরিষা, আলু প্রভৃতি চাষের জন্য ব্যবহার করতেন। নিজের সামান্য জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে হালচাষ করে তাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করত। আবার অনেকে পালা করে হাল চাষ করতো ৷ হালের গরু দিয়ে দরিদ্র মানুষ জমি চাষ করে ফিরে পেত তাদের পরিবারের সচ্ছলতা।

তেমনি এক চিত্র দেখা গেল চৌহালী উপজেলার উমারপুর চরাঅঞ্চলে এবং কোদালিয়া ও খাষকাউলিয়া গ্রামে। সরেজমিন দেখা যায় কোদালিয়া গ্রামের মৃত জয়চানের ছেলে মজিবর রহমান ও কাজিমুদ্দিনের ছেলে ফজল হক ও বৈন্যা গ্রামের হারান আলী বলেন নিজের জমি চাষ করেও অন্যের জমি হালচাষ করতাম। গরুর হাল ও লাঙল দিয়ে চাষের জমি এখন দখন করেছে ইন্জিন চালিত মটরজান।

চাষী মজিবরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পূর্ব পুরুষের হাত ধরে প্রায় ২০-২৫ বছর আগে থেকেই এই কাজের সাথে তিনি জড়িত। প্রতি বছর চাষের মৌসুমে নিজের জমি চাষ করেও অনেক টাকার মত আয় হতো। উপার্জিত এই অর্থ দিয়ে গরুর খাদ্য ও সংসার খরচ চলতো। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রের কারনে গরুর হালের চাপ কমে গেছে। এতে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এযুগে গরীব মানুষের জন্য আধুনিক যন্ত্র ক্রয়ে ব্যায় বহুল খরচ।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাজেদুর রহমান বলেন, গরু-মহিষ, লাঙল ও জোয়াল ছিলো কৃষকের আর্শিবাদ স্বরূপ। গরু-মহিষ, লাঙ্গল ও জোয়াল ছিলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও পরিবেশ বান্ধব কৃষি চাষ পদ্ধতি। কিন্তু বর্তমান সময়ে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ প্রযুক্তির ব্যবহারে সরকার ৫০% উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করছে। এতে কৃষিতে উৎপাদন খরচ কমবে ও কৃষকরা লাভবান হবে। ফলে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারে কৃষকরা বেশী আগ্রহী হচ্ছে তবে লাঙল-গরুর হাল চাষ এখনও জনপ্রিয়।

শেয়ার করুণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2023 channel7online.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin