স্টাফ রিপোর্টার টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চরাঞ্চলের কৃষকরা বসত বাড়ির পাশে ও পতিত জমিতে চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষ করে সাড়া ফেলেছেন । বাজারে ভুট্টার দাম ভালো থাকায় ও ফলন ভালো পাওয়ার আশায় চাষিরা খুশি ।
স্থানীয় ভুট্টা চাষীরা জানান, উপজেলার যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীতে ছোট-বড় চর জেগে উঠে। এসব চরের জমিতে বর্ষায় পলি জমে মাটি উর্বর হয়ে ব্যাপক ফসল উৎপাদনে সহায়ক হয়।এছাড়া চরবাসীদের বাড়ীর উঠানের চারপাশে অনাবাদি জমি বছরের পর বছর পতিত থাকে। এসব পতিত জমিতে তেমন কোনো ফসল চাষ করা যায় না। তবে ঐসব জমিতে ভুট্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকায় চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে পড়েন। ফলশ্রুতিতে বাড়ির পাশে ফসল কম হওয়া বা পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, ১২টি ইউনিয়নে কমবেশি ভুট্টার আবাদ হয়েছে। উপজেলার বেটুয়াজানী, গয়হাটা, বেকড়া, তেবারিয়া, ধুবরিয়া, খাস ঘুনিপাড়া, ভারড়া, সহবতপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে চলতি মৌসুমে এই ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসে বীজ বপনের পর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে। শেষের দিকে ভুট্টা ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকবে বলে আশাবাদী। চরাঞ্চলে পলি মাটি পরে থাকা জমিতে বীজ বপনের পর থেকেই গাছ তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে। প্রতিটি গাছে ০২-০৩ টি করে ভুট্টার মোচা ধরেছে। চাষীরা গড়ে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ভুট্টা ৯৫০-১০৫০ টাকায় বিক্রি করেন। চরের কোনো কোনো চাষি এককভাবে ৫ বিঘা পর্যন্ত জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আরও জানান, গত বৎসর প্রতি হেক্টর (সাড়ে সাত বিঘা) জমিতে গড়ে ৯-১০ মেট্রিক টন ভুট্টার ফলন হয়েছে। বিপণন করতে পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নারীরাও দক্ষ হয়ে উঠায় এ কাজে তাদের কদর বাড়ছে।
উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের শাহাজানি গ্রামের সামেজ মিয়া
জানান, তিনি এবার প্রায় এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা ভুট্টা চাষ ও কাটা মাড়াইয়ে মোট খরচ হবে ২৫-৩০ হাজার টাকা। ফলন ভাল হলে
প্রতি বিঘা জমি থেকে ভুট্টা পাওয়া যাবে ৩৫-৪০ মণ পর্যন্ত। বাজারগুলোতে প্রতি মণ ভুট্টা ৯৫০ থেকে ১০৫০ টাকা দরে বিক্রয় হয়ে থাকে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার অনেক ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি ।
উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন শাকিল বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে ভুট্টা চাষ এ উপজেলায় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভুট্টার রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। উৎপাদন খরচ কম, ফলন বেশি, বাজার মূল্যও বেশি এবং চাষাবাদে ঝুঁকি তুলনামূলক কম হওয়ায় কৃষকেরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। উপজেলায় এ বছর ১৮০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬২০ হেক্টর।
চলমান অর্থবছরে প্রণোদনা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১০০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ভুট্টার বীজ এবং সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চলমান বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় কৃষকদের মাঝে ভুট্টার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে ।
তিনি আরো জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ ও পোকামাকড় এর উপদ্রব কম হওয়ায় ভুট্টার ফলন আশানুরূপ হবে বলে বিশ্বাস করি। ভুট্টার আবাদ নির্ভীঘ্ন করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পাশে থেকে, কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
নাগরপুর চরাঞ্চলের পতিত জমিতে ভুট্টার ব্যাপক ফলন
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চরাঞ্চলের কৃষকরা বসত বাড়ির পাশে ও পতিত জমিতে চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষ করে সাড়া ফেলেছেন । বাজারে ভুট্টার দাম ভালো থাকায় ও ফলন ভালো পাওয়ার আশায় চাষিরা খুশি ।
স্থানীয় ভুট্টা চাষীরা জানান, উপজেলার যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীতে ছোট-বড় চর জেগে উঠে। এসব চরের জমিতে বর্ষায় পলি জমে মাটি উর্বর হয়ে ব্যাপক ফসল উৎপাদনে সহায়ক হয়।এছাড়া চরবাসীদের বাড়ীর উঠানের চারপাশে অনাবাদি জমি বছরের পর বছর পতিত থাকে। এসব পতিত জমিতে তেমন কোনো ফসল চাষ করা যায় না। তবে ঐসব জমিতে ভুট্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকায় চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে পড়েন। ফলশ্রুতিতে বাড়ির পাশে ফসল কম হওয়া বা পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, ১২টি ইউনিয়নে কমবেশি ভুট্টার আবাদ হয়েছে। উপজেলার বেটুয়াজানী, গয়হাটা, বেকড়া, তেবারিয়া, ধুবরিয়া, খাস ঘুনিপাড়া, ভারড়া, সহবতপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে চলতি মৌসুমে এই ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসে বীজ বপনের পর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে। শেষের দিকে ভুট্টা ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকবে বলে আশাবাদী। চরাঞ্চলে পলি মাটি পরে থাকা জমিতে বীজ বপনের পর থেকেই গাছ তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে। প্রতিটি গাছে ০২-০৩ টি করে ভুট্টার মোচা ধরেছে। চাষীরা গড়ে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ভুট্টা ৯৫০-১০৫০ টাকায় বিক্রি করেন। চরের কোনো কোনো চাষি এককভাবে ৫ বিঘা পর্যন্ত জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আরও জানান, গত বৎসর প্রতি হেক্টর (সাড়ে সাত বিঘা) জমিতে গড়ে ৯-১০ মেট্রিক টন ভুট্টার ফলন হয়েছে। বিপণন করতে পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নারীরাও দক্ষ হয়ে উঠায় এ কাজে তাদের কদর বাড়ছে।
উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের শাহাজানি গ্রামের সামেজ মিয়া
জানান, তিনি এবার প্রায় এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা ভুট্টা চাষ ও কাটা মাড়াইয়ে মোট খরচ হবে ২৫-৩০ হাজার টাকা। ফলন ভাল হলে
প্রতি বিঘা জমি থেকে ভুট্টা পাওয়া যাবে ৩৫-৪০ মণ পর্যন্ত। বাজারগুলোতে প্রতি মণ ভুট্টা ৯৫০ থেকে ১০৫০ টাকা দরে বিক্রয় হয়ে থাকে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার অনেক ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি ।
উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন শাকিল বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে ভুট্টা চাষ এ উপজেলায় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভুট্টার রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। উৎপাদন খরচ কম, ফলন বেশি, বাজার মূল্যও বেশি এবং চাষাবাদে ঝুঁকি তুলনামূলক কম হওয়ায় কৃষকেরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। উপজেলায় এ বছর ১৮০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬২০ হেক্টর।
চলমান অর্থবছরে প্রণোদনা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১০০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ভুট্টার বীজ এবং সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চলমান বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় কৃষকদের মাঝে ভুট্টার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে ।
তিনি আরো জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ ও পোকামাকড় এর উপদ্রব কম হওয়ায় ভুট্টার ফলন আশানুরূপ হবে বলে বিশ্বাস করি। ভুট্টার আবাদ নির্ভীঘ্ন করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পাশে থেকে, কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
নাগরপুর চরাঞ্চলের পতিত জমিতে ভুট্টার ব্যাপক ফলন
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চরাঞ্চলের কৃষকরা বসত বাড়ির পাশে ও পতিত জমিতে চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষ করে সাড়া ফেলেছেন । বাজারে ভুট্টার দাম ভালো থাকায় ও ফলন ভালো পাওয়ার আশায় চাষিরা খুশি ।
স্থানীয় ভুট্টা চাষীরা জানান, উপজেলার যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীতে ছোট-বড় চর জেগে উঠে। এসব চরের জমিতে বর্ষায় পলি জমে মাটি উর্বর হয়ে ব্যাপক ফসল উৎপাদনে সহায়ক হয়।এছাড়া চরবাসীদের বাড়ীর উঠানের চারপাশে অনাবাদি জমি বছরের পর বছর পতিত থাকে। এসব পতিত জমিতে তেমন কোনো ফসল চাষ করা যায় না। তবে ঐসব জমিতে ভুট্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকায় চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে পড়েন। ফলশ্রুতিতে বাড়ির পাশে ফসল কম হওয়া বা পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, ১২টি ইউনিয়নে কমবেশি ভুট্টার আবাদ হয়েছে। উপজেলার বেটুয়াজানী, গয়হাটা, বেকড়া, তেবারিয়া, ধুবরিয়া, খাস ঘুনিপাড়া, ভারড়া, সহবতপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে চলতি মৌসুমে এই ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসে বীজ বপনের পর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে। শেষের দিকে ভুট্টা ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকবে বলে আশাবাদী। চরাঞ্চলে পলি মাটি পরে থাকা জমিতে বীজ বপনের পর থেকেই গাছ তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে। প্রতিটি গাছে ০২-০৩ টি করে ভুট্টার মোচা ধরেছে। চাষীরা গড়ে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ভুট্টা ৯৫০-১০৫০ টাকায় বিক্রি করেন। চরের কোনো কোনো চাষি এককভাবে ৫ বিঘা পর্যন্ত জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আরও জানান, গত বৎসর প্রতি হেক্টর (সাড়ে সাত বিঘা) জমিতে গড়ে ৯-১০ মেট্রিক টন ভুট্টার ফলন হয়েছে। বিপণন করতে পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নারীরাও দক্ষ হয়ে উঠায় এ কাজে তাদের কদর বাড়ছে।
উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের শাহাজানি গ্রামের সামেজ মিয়া
জানান, তিনি এবার প্রায় এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা ভুট্টা চাষ ও কাটা মাড়াইয়ে মোট খরচ হবে ২৫-৩০ হাজার টাকা। ফলন ভাল হলে
প্রতি বিঘা জমি থেকে ভুট্টা পাওয়া যাবে ৩৫-৪০ মণ পর্যন্ত। বাজারগুলোতে প্রতি মণ ভুট্টা ৯৫০ থেকে ১০৫০ টাকা দরে বিক্রয় হয়ে থাকে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার অনেক ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি ।
উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন শাকিল বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে ভুট্টা চাষ এ উপজেলায় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভুট্টার রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। উৎপাদন খরচ কম, ফলন বেশি, বাজার মূল্যও বেশি এবং চাষাবাদে ঝুঁকি তুলনামূলক কম হওয়ায় কৃষকেরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। উপজেলায় এ বছর ১৮০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬২০ হেক্টর।
চলমান অর্থবছরে প্রণোদনা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১০০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ভুট্টার বীজ এবং সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চলমান বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় কৃষকদের মাঝে ভুট্টার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে ।
তিনি আরো জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ ও পোকামাকড় এর উপদ্রব কম হওয়ায় ভুট্টার ফলন আশানুরূপ হবে বলে বিশ্বাস করি। ভুট্টার আবাদ নির্ভীঘ্ন করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পাশে থেকে, কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।